Sunday, February 22, 2015

অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের বৈধতার সুযোগ পর্তুগালে

দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের দেশ পর্তুগাল । আইবেরীয় উপদ্বীপের পশ্চিম অংশে আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত দেশটি। আটলান্টিক মহাসাগরের দুইটি স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপপুঞ্জ আসোরেস এবং মাদেইরা দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে গঠিত পর্তুগালের রাজধানী লিসবন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবৈধভাবে বসবাসরত বাংলাদেশিরা চাইলে পর্তুগালে এসে বৈধতা নিতে পারেন। পর্তুগালের বিশিষ্ট অভিবাসন আইনজীবী মিগুয়েল এডুয়াডো রিজোর অফিস প্রশাসক হিসাবে কর্মরত বাংলাদেশি ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞ এ কে রাকিব এ ব্যাপারে জানালেন, ২০০৭ সালের জুন মাস থেকে পর্তুগাল ইমিগ্রেশন থার্ড কান্ট্রি অভিবাসীদের জন্য একটি নতুন অভিবাসন আইন চালু করেছেন। ইমিগ্রেশন আর্টিকেল নম্বর ৮৮-২ ধারাতে আপনি পর্তুগালের বৈধতা পেতে পারেন তবে শর্ত হচ্ছে আপনাকে ইউরোপ বৈধ পথে এসেছেন তার প্রমাণ দেখাতে হবে। তার মানে আপনি ইউরোপ ভিসা নিয়ে এসেছেন এবং আপনার পাসপোর্টে ইউরোপের যেকোনো এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সিল আছে ইত্যাদি প্রমাণাদি দেখাতে হবে। তবে আবার পর্তুগালের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে নতুন পাসপোর্ট নিয়েও আপনি পর্তুগালের অভিবাসী হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে এই ক্ষেত্রে সময় একটু বেশি লাগবে। এ ছাড়া এশিয়ার বিভিন্ন দেশের অধিবাসীদের জন্যও একইরকম সুযোগ রয়েছে।


পর্তুগালের ইমিগ্রেশন আইন অনুযায়ী যে কেউ যদি বৈধভাবে প্রবেশ করে এবং কমপক্ষে ছয় মাস পর্তুগালে অবস্থান করে সরকার নির্ধারিত ট্যাক্স পরিশোধ করে তাহলে সেখানকার রেসিডেন্সির জন্য আবেদন করতে পারে। কেউ যদি ছয় বছর এই রেসিডেন্সি নিয়ে বসবাস করে এবং তার বিরুদ্ধে কোন ক্রাইমে জড়িত থাকার প্রমাণ না থাকে তাহলে সে পর্তুগিজ ন্যাশনালিটি পেতে পারে'। ইউরোপের অন্যান্য দেশ যেমন ইতালি, গ্রিস, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জার্মানিসহ অন্যান্য দেশে যেহেতু নাগরিকত্ব পাওয়াটা অনেক জটিল এবং অনেক দীর্ঘ প্রক্রিয়া কাজেই যারা ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চায় তারা সাধারণত পর্তুগালকেই বেছে নেয়'। পর্তুগিজ পাসপোর্টধারী বাঙালিদের সংখ্যা অনেক যারা এখন পরিবার নিয়ে যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। তা ছাড়া ব্যবসা বাণিজ্য করাটা ও এখানে অনেক সহজ বিধায় বাংলাদেশিরা এখানে সহজেই নাগরিকত্ব পাওয়ার আগ পর্যন্ত থাকতে পারে আর এই কারণেই মূলত এখানে বাংলাদেশিরা অভিবাসী হয়।

No comments:

Post a Comment